বনভোজন মানুষের জীবনের এক আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। ব্যস্ত জীবনের মাঝে একটু বিশ্রাম ও আনন্দ পেতে আমরা পিকনিকে যাই। এখানে দেওয়া হলো একটি সুন্দর ৩০০ শব্দের বনভোজন অনুচ্ছেদ, যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপযোগী।
ছুটির দিনে বনভোজন অনুচ্ছেদ রচনা - Picnic
বনভোজন মানুষের জীবনের এক আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। প্রতিদিনের ব্যস্ত ও একঘেয়ে জীবনে কিছুটা আনন্দ ও বিশ্রাম পেতে আমরা বনভোজন বা পিকনিকে যাই। গত শীতকালে আমাদের বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একদিনের বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেইদিন সকালবেলায় আমরা সবাই স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হই। সেখান থেকে দুটি বাসে চেপে আমরা গন্তব্যস্থল শান্তিনিকেতনের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। পথে গান, হাসি আর আড্ডায় সবাই ছিল দারুণ আনন্দে মেতে।
শান্তিনিকেতনে পৌঁছে আমরা প্রথমে প্রাতঃরাশ করি। এরপর শিক্ষকদের নেতৃত্বে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, উপাসনা মন্দির এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশ্রম ঘুরে দেখি। ইতিহাস ও সংস্কৃতির এত সুন্দর মেলবন্ধন দেখে আমাদের মন ভরে যায়। দুপুরে মাঠের ধারে ছায়াঘেরা স্থানে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করি। এরপর খেলাধুলা, গান, নাচ এবং গল্পগুজব করে সময় কাটাই। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মজার মুহূর্তগুলো ছিল সত্যিই স্মরণীয়।
বিকেলের দিকে সবাই ক্লান্ত হলেও মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে আমরা বাসে ফিরে আসি। ফেরার পথে গানের সুরে ও হাসিতে বাস মুখরিত হয়ে ওঠে। বনভোজন শুধু আনন্দের নয়, এটি আমাদের মধ্যে একতা, সহযোগিতা ও ভালোবাসার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে। বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সেই দিনটি আজও আমার স্মৃতিতে অমলিন।