তোমার প্রিয় লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে সুন্দর রচনা। এই প্রবন্ধে তোমার প্রিয় কবি ও লেখকের জীবন, সাহিত্যকর্ম এবং অনুচ্ছেদ রচনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
আমার প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা ৩০০ শব্দে | অনুচ্ছেদ রচনা
আমার প্রিয় লেখক হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি শুধু বাংলার নয়, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিক। তাঁর জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ই মে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। তাঁর পিতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা ছিলেন শারদা দেবী। ছোটবেলা থেকেই তাঁর সাহিত্য ও সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় অবদান রেখেছেন। কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ—সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে গীতাঞ্জলি, গোরা, ঘরে বাইরে, চোখের বালি, শেষের কবিতা, গল্পগুচ্ছ ইত্যাদি। তাঁর কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি তাঁকে এনে দেয় বিশ্বখ্যাত নোবেল পুরস্কার (১৯১৩ সালে), যা বাংলা ভাষার জন্য এক গৌরবময় ঘটনা।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একজন মানবতাবাদী চিন্তাবিদ। তাঁর রচনায় প্রকৃতিপ্রেম, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম ও আত্মার মুক্তির বাণী প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করতেন—মানুষের মধ্যে ঈশ্বর বিরাজ করেন, তাই মানুষের সেবা করাই জীবনের প্রকৃত ধর্ম। তাঁর লেখায় জীবনের আনন্দ, দুঃখ, প্রেম ও সত্যের গভীর উপলব্ধি প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি শুধু লেখকই নন, একজন সুরকার ও শিক্ষাবিদও ছিলেন। তিনি শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে শিক্ষা ও মানবতার সংমিশ্রণ ঘটেছে।
আমি তাঁর লেখা পড়ে জীবনের অনেক শিক্ষা পাই। তাঁর কবিতাগুলি মনকে শান্ত করে, গল্পগুলি জীবনের বাস্তবতা শেখায়, আর তাঁর গান হৃদয় ছুঁয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য আমার কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। তাই তিনি আমার প্রিয় লেখক।

