Hair loss solution at home
What is the main cause of hair loss
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:- বিভিন্ন হরমোন জনিত ও থাইরয়েডের জন্য চুল ঝরে পড়তে পারে। এছাড়াও মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের পর বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হয় যার জন্য চুল ঝরে পড়ে।
পুষ্টির অভাব:- আমরা অনেক সময় ডায়েটের জন্য পুষ্টিকর খাবার থেকে নিজেদের বঞ্চিত রাখি। চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শরীরে জিংক আয়রন প্রোটিন এইসবের অভাবে জন্য চুল ঝরে পড়তে পারে।
জেনেটিক কারণ:- পরিবারই যদি কারো চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে সেই একই সমস্যা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দেখা যায়। বংশগতভাবে চুল ঝরে যাওয়া একটি সাধারণ বিষয়।
দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ:- দীর্ঘদিন ধরে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে থাকলে চুল ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও নতুন চুল গজিয়ে তোলার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। স্ট্রেস-জনিত চুল পড়াকে বলা হয় Telogen Effluvium।
অসাস্থ্য জীবন যাপন করা:- চুলের দীর্ঘায়ুর জন্য একটি স্বাভাবিক স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা জরুরী। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন অর্থাৎ মদ পান করা, ধূমপান করা, জল কম পান করা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, ইত্যাদি কারনে চুল ঝরে পড়তে পারে।
দীর্ঘদিন অসুস্থতা:- দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার ফলে বা বড় কোন অসুখ হলে চুল ঝরে পড়ে। টাইফয়েড, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এইসব কারণগুলি অন্যতম। দীর্ঘদিন ব্যাথা বা অন্য কোন ঔষধ ব্যবহার করার ফলেও চুল ঝরে পড়তে পারে।
অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার:- অতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু চুলের জন্য মোটেই ভালো নয়। এছাড়াও বিভিন্ন খাবারে অতিরিক্ত কেমিক্যাল থাকার কারণে চুল ঝরে পড়তে পারে।
Hair fall solution at Home
চুলের যত্ন নিন:- চুল ভালো রাখার সবথেকে কার্যকারী উপায় হল চুলের যত্ন নেওয়া। চুলে নিয়মিত ভালো তেল ব্যবহার করুন। চুল ধোয়ার জন্য প্রাকৃতিক শ্যাম্পু অথবা কম কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকুন:- দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করতে নিয়মিত মেডিটেশন ও ব্যায়াম করুন, এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমও প্রয়োজন।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:- আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। খাবারের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি অর্থাৎ যেন প্রোটিন থাকে সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। চুল মজবুত রাখার জন্য প্রোটিন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । প্রোটিনের জন্য ডিম, ডাল, মাছ, মাংস ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারেন। আয়রন ও জিংকের জন্য পালং শাক, কিসমিস, খেতে পারেন। এছাড়াও অবশ্যই ভিটামিন ডি এর জন্য সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকতে হবে।
তেল মালিশ করুন:- প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত দুদিন ভালোভাবে তেল মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে চুলের ফলন বেশি হবে এবং গোড়া মজবুত হবে।
মাথায় চুল গজানোর জন্য কি করা উচিত ?
আপনাকে চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে, এছাড়া কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার কমাতে হবে। আপনি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন যেমন জবা ফুলের পাপড়ির সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে 15 থেকে 20 মিনিট লাগিয়ে রাখুন ।
চুলে পেঁয়াজের রস লাগালে কী হয় ?
পেঁয়াজের রসে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল খুশকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া কমানো তে সাহায্য করে ।
চুল পড়লে আবার কি নিজে থেকে গজায় ?
প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে চুল ঝরে যাওয়া সাধারণ ব্যাপার । কিন্তু ঝরে যাওয়া চুল যখন আবার নতুন করে না গজায় তখন তা সমস্যার কারণ । বিভিন্ন রোগের কারণে বা হরমোনাল সমস্যা ও মানসিক চাপের জন্য এইসব সমস্যাগুলোই দেখা যেতে পারে ।
ঘোরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়:- ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন যেমন, পেঁয়াজের রস চুলের মধ্যে লাগাতে পারেন যা চুলকে বৃদ্ধি ঘটাবে। অ্যালোভেরা লাগাতে পারেন , যার ফলে চুলের মধ্যে থাকা খুশকি দূর হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিন:- যদি চুল পড়া বন্ধ না হয় এবং অত্যাধিক পরিমাণে বাড়তে থাকে, অবশ্যই ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে, ভালো কোন তেল, বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
উপসংহার:- আজকের সময় চুল পড়া একটি খুবই সামান্য ব্যাপার। সঠিক কারণ জানা থাকলে, ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে চুল ঝরা, প্রতিরোধ করা সম্ভব। চুল আমাদের সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের অংশ। তাই এই বিষয়ে কোন অবহেলা না করে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই উপযুক্ত কাজ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:- এই প্রতিবেদনে শুধুমাত্র শিক্ষা ও সাধারণ জ্ঞানের জন্য তথ্য প্রদান করা হয়েছে। আমরা কোন পেশাদারি ডাক্তার বা অভিজ্ঞ চিকিৎসক নই। আপনার শরীর বা চিকিৎসা সম্পর্কে কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই আপনার নিকটবর্তী ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন
Thank you for your Valuable Time
Thank You
উত্তরমুছুন