Fat loss Tips and tricks
•চর্বি কী ?
মানবদেহে চর্বি হল এমন এক ধরনের পদার্থ যা আমাদের চামড়ার নিচে স্তরে অবস্থান করে, যা শক্তি সঞ্চয় করে এবং আরো অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরিকে ভবিষ্যতের জন্য চর্বি রূপে সঞ্চয় করে। সব থেকে বেশি দৃশ্যমান চর্বি হল পেটের চর্বি এবং উরুর চর্বি ইত্যাদি, পেটে যে চর্বি দেখা যায় তা হল ভিসারাল ফ্যাট।
How can I lose fat so fast
১. সুষম খাবার গ্রহণ করা:- কেবলমাত্র সুষম খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় । খাদ্য তালিকার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় শাকসবজি ফলমূল যোগ করতে হবে।
•প্রোটিন:- চর্বি কমানোর জন্য কঠিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিদিন ১.২ গ্রাম থেকে ২.২ গ্রাম প্রোটিন প্রতি কেজিতে প্রয়োজন।
ধরা যাক, শরীরের ওজন ৫০ কেজি, সেই ক্ষেত্রে তার প্রোটিন লাগবে, ৫০×১.২= ৬০ গ্রাম
প্রোটিনের উৎস:- মাংস, ডিম, দুধ ,মসুর ডাল,মাছ ইত্যাদি।
•কার্বোহাইড্রেট:- প্রতিদিন এর কাজকর্মের জন্য কার্বোহাইড্রেট আমাদের শক্তি সরবরাহ করে, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এর অভাব হলে শরীরে ক্লান্তি ও বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিবে ।
কার্বোহাইড্রেট এর উৎস গুলি:- মিষ্টি আলু ,রুটি, ভাত, ফল ইত্যাদি।
•চর্বি:- স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎসর খাদ্য গুলি গ্রহণ করতে হবে এবং অস্বাস্থ্যকর যুক্ত চর্বি খাবার বর্জন করতে হবে।
কিছু স্বাস্থ্যকর চর্বি যুক্ত খাবার হল- বাদাম, চর্বিযুক্ত মাছ
কিছু অস্বাস্থ্যকর ছবি যুক্ত খাবার হল - উচ্চ প্রক্রিয়াজাত তেল, ভাজা খাবার।
২. নিয়ন্ত্রিত ভাবে খাদ্য গ্রহণ করা:- অনিয়ন্ত্রিতভাবে অর্থাৎ অত্যাধিক পরিমাণে বেশি খাবার গ্রহণ করলে চর্বি বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় , খাবার যত পরিমানে গুন সম্পন্ন হোক না কেন অনিয়মিতভাবে গ্রহণ করলে তা থেকে পুষ্টির বদলে অপুষ্টি অর্থাৎ বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করবে। তাই খাবার গ্রহণ করার সময় সচেতনা অবলম্বন করতে হবে।
৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান:- প্রতিদিন কমপক্ষে আড়াই থেকে সাড়ে তিন লিটার জল পান করতে হবে, কারণ জলপান কম করলেই হজমে সমস্যা সৃষ্টি হবে যার ফল স্বরূপ চর্বি সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা যাবে। যেসব ব্যক্তি অধিক সক্রিয় তাদের একটু বেশি পরিমাণে জল পান করতে হবে। জল পান করার জন্য লেবুর রস, শসা, পুদিনা পাতা, এইসবের মিশ্রণ করে জল পান করলে নিয়মিত জলপান করতে সুবিধা হবে।
৪. মানসিক চিন্তা থেকে বিরত থাকা :- মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকতে হবে, এই মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার জন্যই বিভিন্ন হরমোন মিশ্রিত হয় যার ফল স্বরূপ বিভিন্ন জটিলতা দেখা যায়। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ধ্যান,যোগাসন, ভ্রমণ এইসব করতে হবে।
৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম গ্রহণ করা:- একজন সাধারণ মানুষের কমপক্ষে সাত থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন, তাই যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয়, তাহলে বিপাক সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবে।
৬. অধিক চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ:- বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন পানিও গুলিতে অত্যাধিক পরিমাণে চিনি থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর । তাই এইসব পানীয় গুলি ও বিভিন্ন ধরনের চিনিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে । এইসব পানীয় এর বদলে লেবুর জল ইত্যাদি পান করা যেতে পারে।
৭. পরিশ্রমী হয়ে উঠুন:- প্রতিদিন কমপক্ষে দু'ঘণ্টা শরীর চর্চা করুন, সকালে মর্নিং ওয়ার্ক, সাঁতার কাটা, সাইকেল করা, ইত্যাদি কাজের সঙ্গে নিজেকে নিযুক্ত করুন।
কীভাবে দ্রুত ওজন কমানো যায় ?
চিনি যুক্ত খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন, পর্যাপ্ত পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম ও এক্সেসাইজ করুন। অল্প অল্প করে বারে বারে খাবার খান ও বেশি বেশি জল পান করুন।
কম খেলে কি ওজন কমতে পারে ?
কম খেলে ওজন কমে এ কথা পুরোপুরি ঠিক নয়, খাবার খাওয়া কমিয়ে দিলে শরীরে অন্য সমস্যা দেখা যাবে । শরীর প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে খাবার খাওয়া প্রয়োজন ।
সকালে কি খেলে ওজন কমে ?
অল্প গরম জলে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে, তা ওজন কমানোর একটি কার্যকারী উপায় হবে । এ ছাড়া আমলকির রস পান করলেও ওজন কমতে পারে।
• উপসংহার:- স্থূলতা বা এই চর্বি আপনার আত্ম সম্মানকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে মনে রাখবেন আপনার মূল্য আপনার ওজনের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় না। এটি শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্যবান জীবন যাপনের জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ।
আরো নির্ভুল পরামর্শ পাওয়ার জন্য এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য আপনার নিজস্ব স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে আলাপ করুন অথবা কাছাকাছি কোন ডাক্তারের সাহায্য নিন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:- এই প্রতিবেদনে শুধুমাত্র শিক্ষা ও সাধারণ জ্ঞানের জন্য তথ্য প্রদান করা হয়েছে। আমরা কোন পেশাদারি ডাক্তার বা অভিজ্ঞ চিকিৎসক নই। আপনার শরীর বা চিকিৎসা সম্পর্কে কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই আপনার নিকটবর্তী ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন
Thank You For Your Valuable Time